করোনা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে বন্ধুকে ফাঁসাতে গিয়ে...

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৭ জনের মৃত্যুর গুজব ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় এক তরুণ। খুব দ্রুত এই পোস্ট ব্যাপক শেয়ার হয়। একপর্যায়ে পোস্টটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) নজরে আসে। সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে হ্যাকারের অবস্থান শনাক্ত করে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে নাইমুর রহমান ওরফে নাইম নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। বুধবার আদালত তাকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডির হেফাজতে দিয়েছেন।

সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.খায়রুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, একাদশ শ্রেণি পড়ুয়া নাইম পেশাদার হ্যাকার হিসেবে কাজ করেন। টাকার বিনিময়ে তিনি আগেও একাধিকবার বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছেন। এই গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রেও তিনি তার বন্ধু মিনহাজ খানের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সেখান থেকে পোস্ট দিয়েছিলেন। গত ২৩ মার্চ অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়। তবে পুলিশের নজরে আসে ২৯ মার্চ। পুরো ঘটনাটি ছিল নাইমের সাজানো। ভাইরাল হওয়া ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, শনির আখড়া ও নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় করোনাভাইরাসে ২৭ জন মারা গেছে।

নাইমকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডি জানায়, গুজব ছড়াতে ব্যবহৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টের প্রকৃত মালিক মিনহাজ একসময় নাইমের বন্ধু ছিলেন। পরে একটি বিষয়ে বিরোধের সূত্র ধরে ওই বন্ধু তাকে মারধর করে। তখন থেকে তিনি মিনহাজের ওপর প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজছিলেন। তাকে ফাঁসাতে আইডি হ্যাক করে গুজব ছড়িয়ে দেন নাইমুর। এরপর একটি ভুয়া আইডি খুলে সেখান থেকে সাইবার পুলিশের পেজে গুজবের পোস্টটি সম্পর্কে তথ্য দেন। ফলে প্রথমে আইডির মূল মালিক মিনহাজকে আটক করে সিআইডি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে হ্যাকার নাইমুলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

সিআইডি জানায়, বুধবার মিনহাজ বাদী হয়ে কদমতলী থানায় নাইমুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। নাইমুলকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।