ভোলায় সাংবাদিক নির্যাতন, আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

নাবিল হায়দার
নাবিল হায়দার

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মারধরের ওই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর গতকাল বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক বলেন, গতকাল বেলা সোয়া একটায় নাবিল হায়দারকে উপজেলা সদর রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাগর চৌধুরী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নাবিলের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

নাবিল হায়দার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। সাগর চৌধুরী ডব্লিউনিউজ ৩৬০ ডটকম নামের একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাবের ভোলা শাখার সভাপতি। গত ৩১ মার্চ সকালে উপজেলার রাজমণি সিনেমার সামনে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।

মামলার এজাহারে সাগর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ৩১ মার্চ সকাল নয়টার দিকে উপজেলার রাজমণি সিনেমার সামনে নাবিল হায়দার সাগরকে মুঠোফোনে ডেকে নেন। পরে নাবিলের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা চারজন সাগরকে ধরে একটি ভবনের দোতলায় নিয়ে যান। পরে সেখানে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। সেখান থেকে রাজমণি সিনেমার সামনে নিয়ে এসে মুঠোফোন চুরির অপবাদ দিয়ে গলা টিপে ধরে সে দৃশ্য ফেসবুকে লাইভ করা হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করেছেন সাগর চৌধুরী।

সাগর চৌধুরী বলেন, ইউনিয়নের জেলেদের এক মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের। কিন্তু চাল দেওয়া হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ কেজি করে। এ নিয়ে সংবাদ করার কারণে চেয়ারম্যানের ছেলে তাঁর লোকজন নিয়ে মারধর করেছেন তাঁকে।

জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘আমার কোনো বক্তব্য নেই। কী কারণে মারছে, আমি কিছুই জানি না। যে অভিযোগে মামলা হয়েছে, তার সত্য-মিথ্যা কোর্ট–কাছারিতে যখন বিচার চলবে, তখন জানা যাবে।’

হামলারর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাবসহ ভোলার স্থানীয় সাংবাদিকেরা।