রংপুরে করোনা পরীক্ষার যন্ত্র চালু, ৪-৬ ঘণ্টায় মিলবে ফল

পিসিআর যন্ত্র। ফাইল ছবি।
পিসিআর যন্ত্র। ফাইল ছবি।

রংপুর মেডিকেল কলেজে করোনাভাইরাস পরীক্ষার যন্ত্রটি আজ বৃহস্পতিবার থেকে চালু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে রোগীর নমুনা নিয়ে পরীক্ষার ৪-৬ ঘণ্টার মধ্যে এখানে ফল জানা সম্ভব হবে। তবে এখনো এই হাসপাতালে কোনো রোগীর পরীক্ষা করা হয়নি।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম নুরুন্নবী জানান, করোনা (কোভিড-১৯) রোগীর পরীক্ষার পিসিআর (পলিমিয়ার্স চেইন রিঅ্যাকশন) যন্ত্রটি দিয়ে রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ বিষয়ক একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ১০ চিকিৎসক।

কমিটির প্রধান হলেন মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ এ কে এম নুরুন্নবী। অন্যান্য সদস্যরা হলেন, হাসপাতালের পরিচালক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমান, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দেবেন্দ্রনাথ সরকার, গাইনি বিভাগের প্রধান কামরুন নাহার, সার্জারি বিভাগের প্রধান বিমল চন্দ্র রায়, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান আহসান হাবিব, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান, মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবদুল মোকাদ্দেম।

রংপুর মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস নির্ণয়ের জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে যন্ত্রটি পাঠানো হয়েছে। পিসিআর যন্ত্রটি কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল এসে দেখাশোনা করছে। সেই সঙ্গে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চিকিৎসক, টেকনিশিয়ানসহ পাঁচজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই করোনায় আক্রান্তের সন্দেহ হলে রোগীর পরীক্ষা করবেন।

অধ্যক্ষ নুরুন্নবী প্রথম আলোকে বলেন, করোনায় আক্রান্তের সন্দেহ থাকা রোগীর নমুনা পরীক্ষার পর ফল পেতে ৪-৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। এই যন্ত্রে একই সঙ্গে ৯০ জনের পরীক্ষা করা যাবে।

অধ্যক্ষ আরও বলেন, সর্দি, জ্বর কাশি নিয়ে আক্রান্ত রোগীদের নমুনা আক্রান্ত রোগীর বাসা থেকে সংগ্রহ করা হবে। এ জন্য কর্মচারী প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়াও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্দি, জ্বর কাশি নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর চিকিৎসকের পরামর্শ মতে পরীক্ষা করা হবে।