হাসপাতালের কথা বলে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি ধরা পড়লেন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জ্বর নিয়ে টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজের বাড়ি থেকে হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে অবশেষে পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাতে তাঁকে মধুপুরে পাওয়ার পর আইসোলেশনে রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) পাঠানো হয়েছে। সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাতে ওই ব্যক্তিকে পাওয়ার পর সখীপুর সরকারি মুজিব কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং তাঁকে বহনকারী ভ্যানচালককেও ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডের পৃথক কক্ষে রাখা হয়েছে।

উপজেলার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, ওই ব্যক্তি গাজীপুরে একটি কারখানায় চাকরি করেন। গত মঙ্গলবার রাতে শরীরে জ্বর নিয়ে তিনি তাঁর বাড়িতে ফেরেন। গতকাল সকালে তিনি বমি করেন। পরে তাঁর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়। পরে ইউএনওর পরামর্শে প্রতিবেশীরা তাঁকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। হাসপাতালে না গিয়ে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরে মধুপুর থানা-পুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সখীপুরে পাঠিয়ে দেয়।

সখীপুর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহীনুর আলম বলেন, ওই ব্যক্তির জ্বর ও গলাব্যথা আছে। গতকাল পাতলা পায়খানা ও বমি হয়েছে। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ইউএনও আসমাউল হুসনা প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের আটটি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।