করোনাসংক্রান্ত প্রকল্প অনলাইনেই অনুমোদন দিচ্ছে এনজিও ব্যুরো

জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছুটির মধ্যেও অনলাইনে এনজিওগুলোর করোনাসংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ ছাড় দিচ্ছে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। ইতিমধ্যে তারা ব্র্যাকসহ ১১টি বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) করোনাসংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। ব্যুরোর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নেতৃস্থানীয় এনজিও প্রতিনিধিরা।

আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ৫৬ জন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে সারা বিশ্বে। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ইতিমধ্যে ছুটির মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বেড়েছে। ছুটির মধ্যে জরুরি পরিষেবাগুলো চালু থাকলেও কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শহর ও গ্রামে কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। গত ২৯ মার্চ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের কথা জানানো হয়। এখানে কর্মহীন মানুষ হিসেবে ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানগাড়ির চালক, পরিবহনশ্রমিক, রেস্তোরাঁ শ্রমিক, ফেরিওয়ালা ও চায়ের দোকানিদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মানুষের তালিকা তৈরি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এনজিওরা খাদ্য সহায়তা দিতে চাইলে তাদের সমন্বয় সাধনেরও নির্দেশ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।

এনজিও ব্যুরো গত ২৪ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসের সহায়তায় ইচ্ছুক এনজিওগুলোর কাছে অনলাইনেই প্রস্তাব চায়। অনলাইনে দ্রুততার সঙ্গে এসব প্রকল্প ছাড়ও দেওয়া হয়।

এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম আজ প্রথম আলোকে বলেন, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলয়া ছুটির মধ্যেও অনলাইনে প্রকল্প ছাড় হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১টি এনজিওর প্রায় ১৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কে এম আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সব সময় কাজ করছি। কেউ যদি পুরোনো প্রকল্প রিভাইস করে করোনাসংক্রান্ত প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা করতে চান, তাহলেও আমরা অনুমোদন দেব।’

এ পর্যন্ত যেসব এনজিওর করোনাসংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে, এর মধ্যে আছে ব্র্যাক, অক্সফাম, মানবমুক্তি সংস্থা, নমিজান আফতাবী ফাউন্ডেশন, বাসমাহ ফাউন্ডেশন, ফ্রেন্ডশিপ, জাগো নারী, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি, ব্যুরো বাংলাদেশ, আল খায়ের ফাউন্ডেশন, ডু বেটার বাংলাদেশ।

ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশের (এফএনবি) পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই সংকটের সময় এনজিও ব্যুরোর এই উদ্যোগ খুবই আশাব্যঞ্জক। এখন সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। আর এ জন্য অনেকেই প্রস্তুত আছে।’

এনজিও ব্যুরোর পক্ষ থেকে দুটো ই-মেইল দেওয়া হয়েছে। এগুলোয় যোগাযোগ করে প্রকল্প পাঠানো যাবে:
[email protected]
[email protected]