রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুঠোফোন ব্যবহারের সুযোগ চায় অ্যামনেস্টি

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া এবং সেখানকার ক্যাম্পগুলোর চারপাশে বেড়া নির্মাণ বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ ৫০টি মানবাধিকার সংগঠন।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫০টি মানবাধিকার সংগঠনের লেখা এক চিঠিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস বা ‘কোভিড ১৯’ ছড়িয়ে পড়া থামাতে মুঠোফোনের দ্রুত গতির ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অবাধ ইন্টারনেট স্বাস্থ্য কর্মীদেরই সেবা দিতে ভালো ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া শরণার্থীশিবিরে যারা কাজ করছেন তাদের জন্যও এটি প্রয়োজন। রোহিঙ্গা শরণার্থী, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং সাহায্য সংস্থার কর্মীদের অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মুঠোফোন ব্যবহারে বাধা তৈরি করে। শরণার্থী ক্যাম্পগুলো আশপাশে ইন্টারনেটের কভারেজ সীমিত করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশের মুঠোফোন অপারেটরগুলোকে। শরণার্থীরা অভিযোগ করেছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকার মুঠোফোন ব্যবহারই নিষিদ্ধ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর এই বিধিনিষেধগুলো এখনই তুলে নেওয়া দরকার। কোনো ব্যক্তির ‘কোভিড ১৯’ উপসর্গ দেখা দিলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), হটলাইনে যোগাযোগের জন্য বলা হচ্ছে। মুঠোফোন ছাড়া সরকারের এসব নির্দেশ মেনে চলা কোনোভাবেই সম্ভব না।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা এবং রোহিঙ্গা নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা যাতে এই মহামারি কোনোভাবেই রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ছড়িয়ে না পড়ে। একই সঙ্গে এই সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সাহায্য সংস্থার কর্মীরা যাতে সহজে প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় চিঠিতে।

চিঠিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের চারপাশে বেড়া নির্মাণের কাজ মহামারি শুরু হওয়ার আগেই শুরু হয়। এই বেড়া নির্মাণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে তীব্র ভয় ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে যা রোহিঙ্গা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।