সর্দি-কাশিতে একজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার এক বাসিন্দা সর্দি–কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি গাজীপুরের একটি হাসপাতালে গত বুধবার মারা যান। গতকাল বৃহস্পতিবার লাশ বাড়িতে আনার পর স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সতর্কতার সঙ্গে দাফন করা হয়। এরপর লাশ আনা এবং দাফনের কাজে যুক্ত লোকজনের সাতটি পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই কর্মীর বাড়ি তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার গাজীপুরের ভবানীপুরে একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন। সপ্তাহখানেক আগে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শারীরিক দুর্বলতার সঙ্গে তাঁর সর্দি, জ্বর ও কাশি ছিল। তিনি বুধবার সন্ধ্যায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর স্বজনেরা তাঁর লাশ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে আসেন। লাশ দাফন করার আগেই উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন খবর পেয়ে সেখানে যান।

এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘মারা যাওয়া ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক যে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছিলেন তাতে তাঁর শারীরিক দুর্বলতার সঙ্গে সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এ কারণে আমরা বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছি।’

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিজেন ব্যানার্জি বলেছেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই বাড়িতে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ সদস্যদের পাঠাই। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে গতকাল রাত সাড়ে আটটায় ওই মরদেহ দাফন করা হয়। একই সঙ্গে যাঁরা গাজীপুর থেকে লাশ নিয়ে এসেছেন, এখানে পরিবারে যাঁরা আছেন, তাঁরাসহ আশপাশের সাতটি পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে এসব পরিবারের যা কিছু প্রয়োজন হবে প্রশাসন তার ব্যবস্থা করবে। তাঁদের নজরদারিতে রাখা হবে।