করোনায় মৃত নারীর গোসল করানোয় ২৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নারীকে গোসল করানোর ঘটনায় একটি বাড়ির নয়টি পরিরবারের ২৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে পুলিশ একটি বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়, এই বাড়ির একজন নারী বন্দর এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নারীকে গোসল করিয়েছেন। ফলে ওই বাড়ির ২৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

 স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নারীকে গোসল করানো নারী বাড়ির অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। তাই তাঁদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, আপাতত ওই নারীর বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছে দেবেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নারীকে গোসল করিয়েছেন, এমন তিনজনের তথ্য আমরা পেয়েছি।’

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে গত রোববার বন্দর উপজেলার রসুলবাগ এলাকার ৪৫ বছর বয়সী এক নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া পরামর্শ দেয়। কিন্তু স্বজনেরা তাঁকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যান। অবস্থার আরও অবনতি হলে ওই নারীকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে কুর্মিটোলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠায়। ওই নারীর লাশ স্বজনেরা স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করেন। পরে আইইডিসিআরের পরীক্ষায় মৃত ওই নারীর করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে গত বৃহস্পতিবার রাতে রসুলবাগ এলাকা ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন।