জামিন-অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দুই সপ্তাহ বাড়ল

সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট

করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিন ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থার আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেসব আদেশের কার্যকারিতা আদালত খোলার পর থেকে আরও দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ছে। আর বিশেষ আইনের মামলায় আদেশ বা রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টসহ সব আপিল আদালত খোলার দিন আপিল দায়ের করা যাবে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে আজ শনিবার জারি করা এক স্মারকে এমন নির্দেশনা এসেছে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত ওই স্মারকটি আজ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা আলোচনা করেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট থেকে ওই নির্দেশনা জারি করা হয়। আদালত এখন সাধারণ ছুটিতে। এই সাধারণ ছুটির সময়ে যাদের মামলায় জামিন ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থার আদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা ওই সুবিধা পাবেন।

ওই স্মারকে বলা হয়, নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, দেশব্যাপী করানোভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলা ও এর বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সব আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে (১০ ও ১১ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটিও এর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে)। উদ্ভূত পরিস্থিতিকে সংকটময় সময় বিবেচনা করে ইতিমধ্যে যেসব ফৌজদারি মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত হতে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে বা যেসব দেওয়ানি মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থার আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেসব মামলার আদেশের কার্যকারিতা আদালত খোলার তারিখ থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।

‘জামিন/ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ বর্ধিতকরণ এবং বিশেষ আইনের অধীনে আপিল দায়ের’ বিষয়ক স্মারকে আরও বলা হয়, সব বিশেষ আইনের আওতাধীন মামলার আদেশ/রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টসহ সব আপিল আদালত খোলার তারিখে আপিল দায়ের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রায়ের সহি মোহর নকল (সত্যায়িত অনুলিপি) না থাকলেও আপিল দায়ের করা যাবে। তবে আপিল শুনানির আগে সহি মোহর নকল অবশ্যই দাখিল করতে হবে। উল্লেখ্য দেশের প্রত্যেকটি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জরুরি মামলার জন্য এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট কর্মরত আছেন।