টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত: পুলিশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত একটার দিকে উপজেলার ঝিমংখালী (মিনা বাজার) হাজী কালা মিয়া চিংড়ি খামার বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত দুজন হলেন টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পড়ার মাহমুদ উল্লাহ (২৫) ও হোয়াইক্যং ঝিমংখালীর মোহাম্মদ মিজান (২৪)।

পুলিশের দাবি, নিহত দুজন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ১৪টি গুলি, ২০টি কার্তুজের খোসা ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের চারজন সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) সুজিত চন্দ্র দে, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাঈমুল হক ও ফখরুজ্জামান এবং কনস্টেবল মোহাম্মদ সেকান্দর আহত হয়েছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনালী ব্যাংকের টাকা বহনকারী মাইক্রোবাসে করে ইয়াবা পাচার হচ্ছে—এমন তথ্য পায় পুলিশ। এই সূত্র ধরে পুলিশের একটি দল টেকনাফ পৌরসভার সামনে গাড়িটিকে সংকেত দিয়ে তল্লাশি চালায়। এ সময় ৫ হাজার ইয়াবাসহ চালক মাহমুদ উল্লাহকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ ইয়াবার প্রকৃত মালিক মোহাম্মদ মিজানকে উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে আটক করেন। তাদের দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাত ১২টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের ঝিমংখালীর হাজী কালা মিয়া চিংড়ি খামার বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওই দুজনকে নিয়ে অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালান তাদের সহযোগীরা। দুজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় ৪ পুলিশ আহত হন। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। ওই সময় মাহমুদ উল্লাহ ও মিজান দুই দলের মাঝখানে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খান এ আলম প্রথম আলোকে বলেন, রাতে পুলিশ ছয়জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর মধ্যে সাধারণ পোশাকে থাকা গুলিবিদ্ধ দুজন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। নিহত দুজনের শরীরের বিভিন্ন অংশে তিনটি করে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। পোশাক পরিহিত চারজন পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসা দিয়ে আজ সোমবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে অভিযান শেষে থানায় ফেরার পথে টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের পুরাতন বাসস্টেশনের কাছে মাইক্রোবাসে আগুন লেগে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

২০১৮ সালের ৪ মে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এর পর থেকে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন নারীসহ কক্সবাজারে ২৩০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ৭৯ জন রোহিঙ্গা।