টাঙ্গাইলে স্বেচ্ছায় লকডাউনের ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার তিন গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন। গ্রামের প্রবেশপথ বন্ধ করে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবিটি আজ সোমবার ধুলটিয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার তিন গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন। গ্রামের প্রবেশপথ বন্ধ করে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবিটি আজ সোমবার ধুলটিয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার তিনটি গ্রামের মানুষ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় লকডাউনে থাকছেন। গ্রাম তিনটির প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গ্রাম থেকে বের হচ্ছেন না। আবার বাইরের কাউকেও গ্রাম তিনটিতে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।

গ্রাম তিনটি হলো ধুলটিয়া, নবধুলটিয়া ও মোহনপুর।

গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সরকারি নির্দেশনা ভেঙে আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন তাদের গ্রামগুলোতে আড্ডা দিতে আসেন। এতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। তাই তাঁরা নিজেরাই লকডাউন ঘোষণা করেছেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রণ ঠেকাতে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার তিন গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গ্রামের প্রবেশপথ। ছবিটি আজ সোমবার ধুলটিয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো
করোনাভাইরাসের সংক্রণ ঠেকাতে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার তিন গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গ্রামের প্রবেশপথ। ছবিটি আজ সোমবার ধুলটিয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

আজ সোমবার দুপুরে স্থানীয় যুবকেরা গ্রামগুলোর প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখেছেন। সেখানে একটি নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছেন। নোটিশে লেখা আছে, 'প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি ছাড়া বহিরাগতদের গ্রামে প্রবেশ নিষেধ।' গ্রামের প্রবেশপথে যুবকেরা নিরাপদ দূরত্ব রেখে অবস্থান করছেন। তাঁরা বাইরের লোকদের গ্রামে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করছেন।

ধুলটিয়া গ্রামের হিমেলুর রহমান বলেন, 'আড্ডা দেওয়ার জন্য প্রতিদিন অনেক বহিরাগত গ্রামে আসেন। তাঁরা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে অবাধে মানুষের সঙ্গে আড্ডা দেন ও চলাফেরা করেন। এতে গ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। ঝুঁকি এড়াতেই সচেতন গ্রামবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।'

নবধুলটিয়া গ্রামে বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, 'করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গ্রামবাসী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে অনেক ভালো। আর এটি দেখে অন্যরাও অনেক সচেতন হবেন।'

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান এ উদ্যোগের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।