হতদরিদ্রের চাল কালোবাজারি করায় আ.লীগ নেতা কারাগারে

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় কালোবাজারির দায়ে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গতকাল সোমবার এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৮৮ বস্তা চাল সরিয়ে নেন। তবে চালের বস্তাগুলো আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।

দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজিউল হক।

জানা গেছে, গতকাল দুপুরের দিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এসব চাল কাগজে–কলমে হৃতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ দেখিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন গাজিউল। তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ওই ইউনিয়নের ডিলারও। এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এবং তিনি নিজের মুখে কালোবাজারি করার কথা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে দণ্ড দেন। আদালত পরিচালনা করেন সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া। গাজিউলকে এক মাসের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। বাতিল করা হয় তাঁর ডিলারশিপ।

ইউএনও রাসেল মিয়া আজ সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, 'ওই চালের বস্তা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বিক্রি করা ওই চাল একজন ব‍্যবসায়ীর গুদামে মজুত করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। সেখানে অভিযান চালানো হবে।'

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তিনজন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কর্মসূচি চলছিল। গাজিউল হক দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য সারিয়াকান্দি সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে এপ্রিল মাসের বরাদ্দের ৫০০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ১০ টাকা কেজি দরে কার্ডধারী দরিদ্র মানুষের মাঝে এই চাল বিতরণ করার কথা। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে গতকাল কাগজে–কলমে বিতরণ দেখিয়ে ২৮৮ বস্তা চাল বিক্রি করে দেন তিনি। অবশিষ্ট ২১২ বস্তা চালও গুদাম থেকে সরিয়ে ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু এ ব্যাপারে বগুড়ার জেলা প্রশাসকের কাছে কেউ একজন অভিযোগ করেন।

মুঠোফোনে অভিযোগ পেয়ে ইউএনওকে ব‍্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক। নির্দেশ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ইউএনও এর সত্যতা পান। বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ বলেন, 'কালোবাজারে বিক্রি করা চাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।'