টাঙ্গাইল 'লকডাউন' বিকেল চারটা থেকে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে টাঙ্গাইল জেলা অবরুদ্ধ করার (লকডাউন) সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। দুপুর ১২টার দিকে সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সূত্রে জানা যায়, লকডাউনের অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল জেলায় ঢোকা ও বের হওয়ার সব রাস্তায় তল্লাশি চৌকি বসানো হবে। টাঙ্গাইল পৌরসভার চারদিকেও চৌকি থাকবে। এতে জেলায় ও শহরে গণপরিবহনসহ কোনো ব্যক্তি ঢুকতে ও বের হতে পারবেন না। জেলার অভ্যন্তরেও রিকশা, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক খোলা থাকবে। এই মহাসড়ক ধরে অন্য জেলার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। কিন্তু মহাসড়ক থেকে টাঙ্গাইলের কোনো রাস্তায় যানবাহন ঢুকতে পারবে না।

জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল জেলা চারদিক থেকে ‘লক’ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য জেলার সঙ্গে টাঙ্গাইলের যেসব সংযোগ সড়ক রয়েছে, তা বন্ধ করে তল্লাশিচৌকি বসানো হবে। একমাত্র রোগী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া কোনো যানবাহন বা লোকজন যাওয়া-আসা করতে পারবেন না। টাঙ্গাইলের দক্ষিণে গাজীপুর ও উত্তরে জামালপুর জেলা ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মাঝখানে রয়েছে টাঙ্গাইল। এ জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাংসদ মো. ছানোয়ার হোসেন, সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সোহেল রানা, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন মো. ওয়াহীদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোশারফ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদ উল্লাহ, পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান প্রমুখ।

সভা শেষ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা শহরের ব্যস্ততম পার্ক বাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য পাশের ঈদগাহে কাঁচাবাজার স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়।