জ্বর ও সর্দি-কাশিতে একজন, শ্বাসকষ্টে অপরজনের মৃত্যু

ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় জ্বর ও সর্দি-কাশিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ৪২ বছর। এদিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় শ্বাসকষ্টে অপর একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স ৪০ বছর।

নান্দাইলে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নে। তিনি ঢাকায় রিকশা চালাতেন। এক সপ্তাহ আগে তিনি জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি আসেন।

নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ নাসের জানান, ওই রিকশাচালকের পরিবার দাবি করেছে, জ্বর ও সর্দি-কাশিতে তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে ঈশ্বরগঞ্জে ওই ব্যক্তি শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন বলে তাঁর পরিবার থেকে জানানো হয়। ওই ব্যক্তির বড় ভাই মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত রোববার তাঁর ছোট ভাইকে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর ভাইয়ের কাছে কোনো চিকিৎসক আসেননি। পরে তাঁকে ময়মনসিংহের সূর্যকান্ত হাসপাতালে (এস কে হাসপাতাল) স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁর ভাইকে চিকিৎসা দিলে তাঁর শ্বাসকষ্ট ভালো হয়। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানালে তাঁকে ওই দিনই বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন রাতে ঘুমানোর আগে তাঁর ভাইয়ের মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়। সারা রাত এভাবে কাটানোর পর এলাকাবাসীর পরামর্শে পরদিন সোমবার সকাল আটটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর ভাই শ্বাসকষ্টে ছটফট করলেও হাসপাতালের কেউ অক্সিজেন দিতে এগিয়ে আসেননি। শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে তিনি মারা যান।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ওই ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর পরিবারের লোকজন জানান, তিন দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। সেভাবেই তাঁর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর পর তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে সবকিছু জানা যাবে।