মঠবাড়িয়াকে লকডাউন ঘোষণার পরও হাটে মানুষের ভিড়

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় লকডাউনের মধ্যে বসেছে হাট। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছিল না কেউ। আজ সকালে উপজেলা সদরের দক্ষিণ বন্দর বাজারে। ছবি: এ কে এম ফয়সাল
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় লকডাউনের মধ্যে বসেছে হাট। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছিল না কেউ। আজ সকালে উপজেলা সদরের দক্ষিণ বন্দর বাজারে। ছবি: এ কে এম ফয়সাল

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলাকে আজ বুধবার সকাল আটটা থেকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করে প্রশাসন। কিন্তু লকডাউন উপেক্ষা করে আজ সকাল থেকে হাট বসেছে উপজেলা সদরের দক্ষিণ বন্দর বাজারের। হাটে মানুষের প্রচুর ভিড়। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছিল না কেউ। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ হাটটি ভেঙে দেয় বলে জানা যায়। 

বুধবার মঠবাড়িয়া বাজারের সাপ্তাহিক হাটের দিন। স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন বুধবার সকাল থেকে লকডাউন ঘোষণা করলেও হাট বন্ধ রাখতে নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। এ অবস্থায় আজ সকাল নয়টার পরে জমে ওঠে হাট।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ মঠবাড়িয়ায় আসছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষের আসা বন্ধ করতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি উপজেলার আটটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এসব প্রবেশপথে প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দুজন গ্রাম পুলিশ ও দুজন আনসার বাহিনীর সদস্য পাহারার দায়িত্বে থাকবেন। তবে জরুরি খাদ্য পরিবহনে ব্যবহৃত যানবাহন, সরকারি যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচল করবে। জরুরি প্রয়োজনে মঠবাড়িয়ায় প্রবেশ করা যানবাহন ও ব্যক্তিদের প্রতিটি প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক থাকবে। এ ছাড়া মুদিদোকান ও কাঁচাবাজারগুলো প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা খোলা থাকবে। শুধু ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যাবে। পাশাপাশি মঠবাড়িয়া পৌর এলাকায় সব ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, মাহেন্দ্র ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস গতকাল মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ মঠবাড়িয়ায় আসছেন। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা জরুরি সভা করে মঠবাড়িয়া উপজেলাকে বুধবার সকাল থেকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিই। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঠবাড়িয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ আটটি প্রবেশপথ ঝাউতলা, বান্ধবপাড়া সিএনবি, বাবুরহাট, বড়মাছুয়া খেয়াঘাট, ভগীরথপুর বাজার, দাউদখালী নতুন বাজার, দধিভাঙ্গা বাজার ও কুমিরমারা বাজার এলাকায় চৌকি বসিয়ে বর্ডার সিল (সীমানা বন্ধ) করে দিয়েছি। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত মঠবাড়িয়া লকডাউন থাকবে।’

লকডাউনের মধ্যে হাট বসা প্রসঙ্গে জানতে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাসকে মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

জানতে চাইলে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান আজ দুপুর বলেন, খবর পেয়ে হাটে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ হাট ভেঙে দিয়েছে।