র্যাবের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

অপ্রয়োজনে বের হয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে করোনা বিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন এক তরুণ। শ্রীমঙ্গল শহর, মৌলভীবাজার, ৮ এপ্রিল। ছবি: শিমুল তরফদার
অপ্রয়োজনে বের হয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে করোনা বিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন এক তরুণ। শ্রীমঙ্গল শহর, মৌলভীবাজার, ৮ এপ্রিল। ছবি: শিমুল তরফদার

শহরের বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন র‌্যাব সদস্যরা। অপ্রয়োজনে যাঁরাই শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ও মাস্ক ছাড়া বেরিয়েছেন, তাঁদের দাঁড় করিয়ে করোনাভাইরাস বিষয়ে বক্তব্য দেওয়াচ্ছেন তাঁরা। রাস্তার এক পাশ থেকে চিৎকার করে অন্য পাশের লোকজন যাতে শুনতে পারে, তেমনভাবে করোনাভাইরাস সম্পর্কে বলতে হচ্ছে তাঁদের।

যাঁদের মুখে মাস্ক নেই, তাঁদের মাস্ক পরে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাতে তুলে দিচ্ছেন একটি করে মাস্ক। র‌্যাবের হাতে পড়ে লজ্জা পাওয়ার ভয়ে অনেকেই শহরের ভেতরে অপ্রয়োজনে আসছেন না। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে র‌্যাব–৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প এভাবেই ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি নিয়েছে। যাঁদের এই কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রীমঙ্গল র‌্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। আজ বুধবার শহরের বিভিন্ন স্থানে র‌্যাবের এই ব্যতিক্রমী কার্যক্রম করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকজন তরুণকে দাঁড় করিয়ে র‌্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন ঘরের বাইরে এসেছেন। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগ তরুণই ওষুধ কেনার জন্য শহরে এসেছেন বলে র‌্যাবকে জানান। র‌্যাবের কর্মকর্তা তাঁদের কাছে কোনো ধরনের প্রেসক্রিপশন বা ওষুধ পাননি। পরে তাঁদের দাঁড় করিয়ে করোনাভাইরাসের বিষয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়।

শ্রীমঙ্গল র‌্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শহরে অনেকেই অপ্রয়োজনে আসছে। যাকেই ধরছি, হয় ওষুধ নয় তো বা বাজার করতে আসার অজুহাত দিচ্ছে। আমরা অনেক সময় বকাঝকা না করে তাদের দাঁড় করিয়ে চিৎকার করে করোনা প্রতিরোধে কী করতে হবে সেই বিষয়ে বক্তব্য দিতে বলি। অনেকেই লজ্জায় পড়ে শহরে আর আসবে না বলে আমাদের কথা দিয়েছে। মানুষ নিজেরাই সচেতন না হলে চলবে না। সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থাকতে হবে।’