বরগুনায় জ্বর-কাশি নিয়ে তিনজন আইসোলেশন ওয়ার্ডে

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। তিনজনই বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি তিনজনের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম ও একজন ঢাকা থেকে এলাকায় ফেরেন। অপরজন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনজনই জ্বর সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাই তাঁদের হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আগে ভর্তি হওয়া দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানোর হয়েছে। অপরজন বুধবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার ঢাকায় পাঠানো হবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম-ফেরত ব্যক্তিটি বেশি অসুস্থ। তাঁর অন্যান্য উপসর্গের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট রয়েছে। আর এলাকার একটি সূত্র জানায়, ঢাকা-ফেরত ব্যক্তিটি বুধবার ভোরে এলাকায় পৌঁছান। তিনি অ্যাম্বুলেন্সযোগে বরগুনায় এসে গোপনে নিজের বাড়িতে ওঠেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে যায়। প্রশাসনকে জানালে তারা এসে ওই ব্যক্তিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বরগুনা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সোহরব হোসেন বলেন, ‘আগে ভর্তি হওয়া দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছি। বুধবার ঢাকা-ফেরত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার ঢাকায় পাঠানো হবে।’

এর আগে ৩০ মার্চ আমতলী উপজেলার কুকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর থেকে তাঁকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার আগে ১৮ মার্চ বরগুনা সদর উপজেলায় আসা এক ভারতীয় নাগরিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর ১৭ ফেব্রুয়ারি বরগুনা সদর উপজেলার চীন-ফেরত এক শিক্ষার্থী জ্বর নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে নমুনা পরীক্ষার পর আইইসিডিআর নিশ্চিত করেছে, তাঁদের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন।