১০ টাকা কেজির ৬৩০ বস্তা চাল জব্দ, আটক ২

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বৃহস্পতিবার একজন ডিলারের তিনটি গুদাম থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫৬২ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া ওই ডিলারের গুদামে যাওয়ার পথে আরও ৬৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। চাল জব্দের পর গুদামগুলো সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার আমিরুল ইসলামের ভাই জামেরুল ইসলাম (৪৫) ও আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে চাল পরিবহনে ব্যবহার করা নছিমনের চালক পান্না কাওসার (৩০)।

বৃহস্পতিবার ভোরে দুইটি রিকশা ভ্যান ও একটি নছিমনে করে হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের বস্তা নিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কুশলডাঙ্গী এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন চালকেরা। সে সময় সন্দেহ হলে পারুয়া গ্রামের লোকজন তাঁদের কাছে বিষয়টি জানতে চান। অবস্থা বেগতিক দেখে ভ্যানচালকেরা পালিয়ে গেলেও নছিমনচালক পান্না কাওসারকে লোকজন ধরে ফেলেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খায়রুল আলম সেখান থেকে ৬৮ বস্তা চাল জব্দ করেন। আটক নছিমনচালক পান্না কাওসার জানান, চালের বস্তাগুলো মোড়লহাট থেকে কুশলডাঙ্গী বাজারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার ও ব্যবসায়ী মো. আমিরুল ইসলামের গুদামে নিয়ে যাচ্ছিলেন। চালের বস্তাগুলো তিনি কিনে নিয়েছেন।

পান্না কাওসারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইউএনও বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কুশলডাঙ্গী এলাকার আমিরুল ইসলামের তিনটিসহ পাঁচটি গুদামে অভিযান চালান। অভিযানে আমিরুলের তিনটি গুদামে ১০ টাকা কেজির ৫৬২ বস্তা চালের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে ইউএনও আমিরুলের তিনটি ও তাঁর ছোট ভাই জামেরুল ইসলামের দুটি গুদাম সিলগালা করে দেন। অভিযান পরিচালনার সময় আমিরুল ও তাঁর স্ত্রী বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য কুলসুম আক্তারকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় জামেরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।

ইউএনও খায়রুল আলম বলেন, এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিলার আমিরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।