হরিপুর উপজেলা ১৪ দিন লকডাউন

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।সংক্রামিত এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ এলাকায় ফিরে আসায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরিপুর উপজেলার অসংখ্য মানুষ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে কাজ করেন। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটায় এসব এলাকা লকডাউন করে প্রশাসন। এরপর গোপনে এসব এলাকা থেকে মানুষ হরিপুর ফিরতে শুরু করেন। তাঁদের মাধ্যমে উপজেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এ আশঙ্কা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে হরিপুর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এক জরুরি সভা আহ্বান করে। সভায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরো উপজেলা ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

লকডাউনের আওতায় জেলার অন্য কোনো উপজেলার লোকজন যেমন এ উপজেলায় আসতে পারবেন না, তেমনি হরিপুর উপজেলার মানুষও অন্য কোনো উপজেলায় যেতে পারবেন না। অন্য কোনো জেলার মানুষও এখানে ঢুকতে পারবেন না। এ জন্য শুক্রবার রাত থেকে সব সড়ক বন্ধ থাকবে। তবে খাদ্যপণ্য, কৃষিপণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী গাড়ি এর আওতামুক্ত থাকবে। ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকলেও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুজ্জামান বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ পৌর এলাকায় মাইকিং করছে। কেউ লকডাউন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম বলেন, ‘গত কয়েক দিনে করোনা সংক্রামিত এলাকা থেকে অসংখ্য মানুষ পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হরিপুরে ঢুকেছে। তাদের সংখ্যা এতই বেশি যে, তাদের মাধ্যমে যদি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যায় তবে তা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে এ সময় লকডাউনে না গেলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না।’

এদিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে আসা লোকজনকে শনাক্ত করে সদস্যদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। লকডাউনের কারণে কোনো পরিবারের যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সমস্যা না হয়, প্রশাসন তা দেখবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।