হৃদ্রোগে মৃত্যু হলেও ভয়ে কাছে ভিড়ছিলেন না কেউ

দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন হতদরিদ্র শিল্পী বেগম (৪৮)। অসুস্থ শরীর নিয়েই তিনি মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন। শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে লোকজন লাশের কাছে ভিড়ছিলেন না। খবর পেয়ে ঢাকার আশুলিয়া থানা-পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে দাফনের ব্যবস্থা করেছে।

শিল্পীর মামাতো ভাই মোসলেম উদ্দিন বলেন, তাঁর বোনের বাড়ি গাইবান্ধা। তিনি আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় থেকে মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন। কয়েক বছর ধরে তিনি হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন। অর্থের অভাবে তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েই ভোরে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর এলাকায় করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে লোকজন কাছে ভিড়ছিলেন না। এলাকা থেকে বের করতে দেওয়া হচ্ছিল না লাশ। পরে বিষয়টি আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হককে জানান তাঁরা। তিনি লাশ গাইবান্ধায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন।

এদিকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকার যিতেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের মেয়ে সন্তানসম্ভবা। শুক্রবার সকালে তিনি প্রসবব্যথায় ছটফট করছিলেন। মেয়েকে নিয়ে যিতেন্দ্রনাথ অনেক হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করেন। কিন্তু কোনো হাসপাতালেই ভর্তি নেওয়া হয়নি। অবশেষে তিনি যান আশুলিয়া থানায় কাছে। এরপরই মেয়েকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তির সুযোগ পান যিতেন্দ্রনাথ।

থানার ওসি রিজাউল হক বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে তাঁরা তৎপর রয়েছেন। অনেকেই বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁরা সমাধানের চেষ্টা করছেন।