ঢাকা ছাড়লেন ১২৪ ইউরোপীয় নাগরিক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় এবার ইউরোপের ১৬ দেশের ১২৪ নাগরিক ঢাকা ছাড়েন। এঁদের মধ্যে জার্মানির নাগরিকদের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ১৫ দেশের ১১৭ জন এবং ইউক্রেনের ৭ জন নাগরিক। এঁরা সবাই শুক্রবার দুপুরে জার্মান বিমান সংস্থা কনডর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ফ্রাঙ্কফুর্ট যাত্রা করেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকক হয়ে ঢাকায় আসা কনডরের ওই ফ্লাইটে আরও দেড় শ যাত্রী ছিলেন।

তবে ওই ফ্লাইটে যাঁরা জার্মানি গেছেন, সেখানে কূটনীতিক রয়েছে কি না, সেটা স্পষ্ট নয়। ফিরে যাওয়া লোকজনের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও রয়েছেন। তাঁরা বাংলাদেশে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছিলেন। এই ফ্লাইটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইউরোপীয় নাগরিক বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোলজ তাঁর টুইটে লিখেছেন, জার্মানি এবং ইউরোপের ১৫টি দেশের নাগরিক জার্মান সরকারের ভাড়া করা উড়োজাহাজে ঢাকা ছেড়ে গেছেন। জার্মান দূতাবাস এবং ইইউ দূতাবাসের কূটনীতিকেরা ওই ফ্লাইট আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক তাঁর টুইটে লিখেছেন, ইইউ ডেলিগেশন জার্মান দূতাবাসের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে।

ইউরোপের নাগরিকদের বিদায় জানাতে ইইউ রাষ্ট্রদূত, জার্মান রাষ্ট্রদূতসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে ৬টি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, মালয়েশিয়া ও ভুটানের ১ হাজার ২৭২ জন নাগরিক তাঁদের দেশে ফিরেছেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ১৬ এপ্রিল রাতে তাঁর দেশের কিছু নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে মেলবোর্ন নিয়ে যাবে। যাঁরা এরই মধ্যে হাইকমিশনে নিবন্ধভুক্ত হয়েছেন, তাঁদের ই–মেইল বার্তায় প্রস্থানের তারিখ, টিকিটের মূল্য এবং অন্যান্য ব্যবস্থার বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, যাঁরা এখনো নিবন্ধিত হননি এবং অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের দ্রুত হাইকমিশনের ই–মেইলে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ও উল্লেখিত অন্যরা যাঁরাই বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন, তাঁদের সবাইকে এই সুযোগ গ্রহণ করার বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ, এ রকম ফ্লাইটের ব্যবস্থা আর না-ও হতে পারে।