নুসরাত হত্যার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি পরিবারের

নুসরাত জাহান। ফাইল ছবি
নুসরাত জাহান। ফাইল ছবি

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে পুড়িয়ে হত্যার এক বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল ১০ এপ্রিল। ওই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গত ২৪ অক্টোবর মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। হত্যাকাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে নুসরাতের পরিবার এ রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে।

আদালত ও মামলার আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক (মামলার যাবতীয় নথি) ছাপানোও শেষ। ইতিমধ্যে প্রধান বিচারপতি এ মামলার আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি আশা করছেন, নিম্ন আদালতে দেওয়া রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকবে। দণ্ড দ্রুত কার্যকর করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছেন।

মাদ্রাসা অধ্যক্ষের লাঞ্ছনার শিকার হয়ে নুসরাত থানায় বিচার চাইতে গেলে সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে অশোভন আচরণ করেন এবং এর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাঁর আট বছরের সাজা হয়েছে।

গত বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন।  মামলা করায় একই বছরের ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যান।