মানুষের জয় হবেই

সন্‌জীদা খাতুন। ফাইল ছবি
সন্‌জীদা খাতুন। ফাইল ছবি

এবারে নববর্ষ এল, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ যখন মরছে। আমার মনের অবস্থা খুব খারাপ। মনের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। চোখে ঠিকভাবে দেখি না। পড়ার মতো বইও পাই না। আমাদের জন্য বড় বড় হরফে বই ছাপবে কে? এ সময় মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায় না। মনের কথাটাই বললাম। তবু এটা জানি, মানুষ পড়ে থাকে না।

রমনার বটমূলে এবারের ছায়ানটের অনুষ্ঠান আমরা বাতিল করে দিয়েছি। বড় সমাবেশের বিপদ আছে। এমনভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে, এখন প্রকাশ্যে অনুষ্ঠান করাও মানায় না। একটি প্রতিষ্ঠান সংকটে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে। তাঁদের জন্য অনুষ্ঠানের বাজেটের একটা বড় অংশ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

তবে ছায়ানট থেকে ভিন্নভাবে বর্ষবরণের কথা আমরা ভাবছি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান নিয়ে কথা হয়েছে। এর আগের বিভিন্ন বছর নববর্ষে রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে যেসব গান আমরা পরিবেশন করেছি, সেখান থেকে বাছাই করা গানগুলো নিয়ে একটা অনুষ্ঠান হবে বিটিভিতে। তার সঙ্গে থাকবে আমার সমাপনী কথন। সেটিই শুধু নতুন করে ধারণ করা হবে। এই বর্ষ আবাহনই যুক্ত হবে বিটিভির অনুষ্ঠানে। আমার নাতনির ক্যামেরায় সেটা ধারণ করা হয়েছে।

বিনা যুদ্ধে মানবজাতি কখনো আত্মসমর্পণ করেনি, করবেও না। বিপন্ন মানবসমাজকে বাঁচিয়ে রাখার একটি অনন্ত প্রয়াস চলছে। আমাদের মনোবল রাখতে হবে অটুট। উৎসবের সময় এটা নয়। চারদিকে মানুষের মৃত্যুর খবর। মানুষকে আগে বাঁচাতে হবে। এখন নিতে হবে জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার শপথ। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের জয় হবেই।

l  সন্‌জীদা খাতুনের সঙ্গে ফোনালাপের ভিত্তিতে লিখিত।