'৫ কেজি চালে আর কয় দিন চলে?'

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কর্মহীন অবস্থায় আছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মধ্য সোনাইছড়ি ত্রিপুরাপাড়ার বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতিতে ত্রাণ হিসেবে পাওয়া পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি আলু আর এক কেজি ডাল অপ্রতুল বলে জানালেন তাঁরা। কাঞ্চন ত্রিপুরা নামের একজন প্রশ্ন রাখলেন, ‘৫ কেজি চালে আর কয় দিন চলে?’

এই তরুণ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এক টাকাও সঞ্চয় বা জমা করা নেই। আমরা দিনে এনে দিনে খাই। ত্রাণের পাঁচ কেজি চাল দিয়ে কী হয়? বাকি দিন কী খাব?’ তিনি লেখেন, সরকারি নির্দেশ মেনে সোনাইছড়ি ত্রিপুরাপাড়ার বাসিন্দারা ঘরে আছেন। এর ফলে ২০ দিনের বেশি সময় ধরে কর্মহীন তাঁরা। এখানকার ৭৩ ত্রিপুরা পরিবার খাবার সংকটে পড়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে কাঞ্চন ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩ এপ্রিল তাদের পাড়ার ৭৩ পরিবারকে পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি আলু আর এক কেজি ডাল দেওয়া হয়। এ ত্রাণ দিয়ে কয় দিন আর যায়?’ সহযোগিতার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে কল করেছিলেন, কিন্তু কোনো সাড়া পাননি বলে অভিযোগ তাঁর।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৮০০ ত্রিপুরা পরিবার আছে। এর মধ্যে অস্বচ্ছল ২২৮ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি ত্রাণ ইউনিয়নভিত্তিক চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বন্টন করা হয়েছে। সে সময় ত্রিপুরাপাড়ার বাসিন্দারা বাদ পড়ায় তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে ২২৮ পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছেন। সেটা এত দিনে শেষ হওয়ার কথা। তাদের দ্রুত ত্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।