উৎকোচ নিয়ে সড়কে যাতায়াতের সুযোগ, এসআই প্রত্যাহার

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় উৎকোচ নিয়ে লোকজনকে সড়কে যাতায়াতে সুযোগ দেওয়ার অভিযোগে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের মঘাইছড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মো. শহীদুজ্জামান পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাণীরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (দায়িত্বরত কর্মকর্তা)। ঘটনার খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া ও পার্শ্ববর্তী রাঙামাটি জেলার কাউখালী থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, তাঁর (শহীদুজ্জামান) বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ছয়জন নারী-পুরুষ রাঙামাটি যাচ্ছিলেন। তাঁরা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মঘাইছড়ি এলাকায় পৌঁছালে সাদাপোশাকে দায়িত্বরত এসআই মো.শহীদুজ্জামান গাড়ি থামিয়ে জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা নেন। পরে ওই গাড়ি ছেড়ে দেয়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য বলেন, সরকার করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে অবাধ গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন কৌশলে রাঙ্গুনিয়ায় ঢুকে পড়ছে। কয়েক দিন ধরে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে রাঙ্গুনিয়া অংশে লোকজনের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা যাতায়াতে সুযোগ করে দিচ্ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে এসআই শহীদুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।