সরকারি চালসহ ইউপি সদস্য আটক, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ১৫ বস্তা চালসহ এক ইউপি সদস্যকে আটক করার পর এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। গতকাল গাড়াদহ গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ১৫ বস্তা চালসহ এক ইউপি সদস্যকে আটক করার পর এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। গতকাল গাড়াদহ গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো

কালোবাজারে বিক্রির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে আটক করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গাড়াদহ গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ সময় ওই ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।

আটক ইউপি সদস্যের নাম আল আমিন ওরফে পলাশ (৪৮)। তিনি বাগবাটি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তাঁর বাড়ি একই ইউনিয়নের পূর্ব গাড়দহ গ্রামে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির প্রস্তুতি চলছে—এমন খবর পেয়ে গতকাল বিকেলে পুলিশ গাড়াদহ গ্রামে গিয়ে একটি ঘরের মধ্যে থেকে ১৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) চাল উদ্ধার করে। এই চাল মজুত করার অভিযোগে ইউপি সদস্য আল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

পুলিশের অভিযান চলাকালে এলাকার কয়েক শ মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাগবাটি ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য আল আমিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাঁরা চাল মজুত করে রাখার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ইউপির সদস্য আল আমিন চালের বস্তাগুলো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়ে ওই ঘরের মধ্যে বিতরণের জন্য রেখেছিল। কিন্তু সেগুলো কেন বিতরণ করা হয়নি, সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার অসীম কুমার জানান, সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।