লালপুরে দিনমজুরকে লাঠিপেটা করা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ত্রাণ চাওয়ায় দিনমজুরকে লাঠিপেটার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি এবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নাটোর, ১৭ এপ্রিল। ছবি: মুক্তার হোসেন
ত্রাণ চাওয়ায় দিনমজুরকে লাঠিপেটার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি এবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নাটোর, ১৭ এপ্রিল। ছবি: মুক্তার হোসেন

নাটোরের লালপুর উপজেলায় জাতীয় জরুরি সেবা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চাওয়ায় দিনমজুরকে লাঠিপেটার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি এবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে জেলা পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, সরকারের পরিষেবা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চাওয়ার অপরাধে দিনমজুর শহিদুল ইসলামকে এবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাঠিপেটা করেন। এ ঘটনায় লালপুর থানায় মামলা হয়। মামলার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে ছিলেন। নির্মম এই ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে আসলে নিন্দার ঝড় ওঠে। ফলে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। মামলার দুদিনের মধ্যে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি এবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ও বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

১০ এপ্রিল উপজেলার আঙ্গারীপাড়া গ্রামের দিনমজুর শহিদুল ইসলাম (৫৫) সরকার ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণের জন্য আবেদন করেন। ত্রাণ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যাবে বলে ফোনে জানানো হয়। দুদিন অপেক্ষার পর ১২ এপ্রিল দুপুরে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে চৌকিদার এসে এবি (অর্জনপুর-বরমহাটি) ইউনিয়ন পরিষদে ধরে নিয়ে যায়। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের চেয়ারম্যানের কক্ষে নিয়ে চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার (৫৫), তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মো. রুবেল (৩০) ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজা (৩৫) শহিদুলকে লাঠিপেটা করেন। এ ঘটনায় তিনি বুধবার লালপুর থানায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা করার পর আসামিরা আত্মগোপন করেন।
এ ঘটনা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোতে ‘৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চাওয়ায় মারপিট, মামলা’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন