পদ্মায় নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর তরুণের লাশ উদ্ধার

আশিক ফকিরের লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের আহাজারি। ছবি: এম রাশেদুল হক
আশিক ফকিরের লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের আহাজারি। ছবি: এম রাশেদুল হক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজের ১৫ ঘন্টা পর তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল আশিক ফকির (১৯) নামের ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে।

আশিক ফকির দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বদন মৃধার পাড়ার ইদ্রিস ফকিরের ছেলে। গতকাল রোববার বিকেলে তিনি দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ফেরিঘাটে বসে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে অসাবধানতাবশত নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। তিনি দৌলতদিয়া ঘাট টার্মিনাল এলাকার একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতেন।

আশিক ফকিরের বাবা ইদ্রিস ফকির জানান, তাঁর তিন ছেলের মধ্যে আশিক দ্বিতীয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে আশিক বাড়িতেই ছিলেন। গতকাল বিকেলে ফেরিঘাটে একটু ঘুরতে বের হওয়ার কথা জানিয়ে বেলা তিনটার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। এর ঘণ্টাখানেক পর বিকেল চারটার দিকে খবর আসে, আশিক পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন। আশিক কিছুটা অসুস্থ প্রকৃতির ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন, আশিক মাথা ঘুরে নদীতে পড়ে যাওয়ার পর আর উঠতে পারেননি।

বাবা আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ফেরিঘাটে গিয়ে খোঁজ করতে থাকি। অনেকক্ষণ সন্ধান করেও না পেয়ে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিই। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ফেরিঘাটে পৌছলেও তাঁরা উদ্ধার অভিযান না চালিয়ে ফিরে আসেন। উপায় না পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে করে আমরা অনেক রাত পর্যন্ত সন্ধান করি। কিন্তু পাইনি।’


গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনমাস্টার আব্দুর রহমান বলেন, গতকাল বিকেলের দিকে ওই তরুণ নিখোঁজ হলেও তাঁদের সন্ধ্যার দিকে খবর দেওয়া হয়। রাত হওয়ায় তাঁদের পক্ষে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ডুবুরি না থাকায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া স্টেশনের ডুবুরি দলকে খবর দিয়ে ফের আজ সোমবার সকাল আটটা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চার নম্বর ফেরিঘাট পন্টুনের পাশে ডুবন্ত অবস্থায় নিখোঁজ আশিকের লাশ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।


গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-তায়াবীর জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে। পরিবার পক্ষ থেকে লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের আবেদন করা হলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।