করোনার সংক্রমণ রোধে কালীগঞ্জে 'ফ্রেশ অ্যান্ড সেফ ফিশ' মার্কেট

অনলাইনে চাহিদা জানালেই ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন ধরনের মাছ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বাড়িতে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ঘরে থাকা মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও মৎস্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় চালু করা হয়েছে ‘ফ্রেশ অ্যান্ড সেফ ফিশ’ মার্কেট।

কালীগঞ্জ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ মানুষ ঘরবন্দী জীবন যাপন করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতেও অনেক ক্ষেত্রে বাজারে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এসব ভাবনা থেকেই অনলাইনে অর্ডার নিয়ে চাহিদা মোতাবেক মাছ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দামও বাজারমূল্যের থেকে বেশি নয়। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের মৎস্যঘের বা পুকুর থেকে মাছ সংগ্রহ করে ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে।

ওই মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, শহরের মানুষ অনলাইনে কেনাকাটার সঙ্গে পরিচিত অনেক আগে থেকেই। দেশের বিশেষ এই পরিস্থিতিতে এখন গ্রামেও তারা অনলাইনে কেনাকাটার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে সাড়া মিললে ভবিষ্যতেও এই সেবা অব্যাহত রাখা হবে। মাছের মূল্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ১০-১৫টিতে কেজি এমন গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি মূল্য ৭০০ টাকা, ১৫-২০টির প্রতি কেজির মূল্য ৬০০ টাকা ও ২০-২৫টির প্রতি কেজি গলদার মূল্য ৫০০ টাকা। বাগদা চিংড়ি ২০-২৫টির প্রতি কেজি ৭৮০ টাকা, ২৫-৩০টির প্রতি কেজির মূল্য ৬৮০ টাকা ও ৫০-৬০টি প্রতি কেজির মূল্য ধরা হয়েছে ৪২০ টাকা। এ ছাড়া ভেটকি, ট্যাংরা, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট ও বড় মাছ পাওয়া যাবে। মাছ অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

চাহিদা পাওয়ার পর দূরত্ব অনুযায়ী যথাসম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘের বা পুকুর থেকে মাছ ধরে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে উপজেলা সদর থেকে দূরত্ব অনুযায়ী বহন খরচ মাছের মূল্যের সঙ্গে যুক্ত হবে। অর্ডারের একটি ফেসবুক পেজ ও দুটি মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। মাছ কেনার জন্য ইতিমধ্যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল বারী জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগটি সুফল বয়ে আনবে বলে তিনি মনে করছেন।