তথ্য লুকিয়ে এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন করোনা রোগী

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য বিভাগ ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে তাঁকে বিশেষ ব্যবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় জেলার সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবির ও দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর হোসেন উপস্থিত থেকে বিষয়টি তদারকি করেন।

গতকাল সোমবার রাতে ইউএনও ও আরএমও সরেজমিন অনুসন্ধান করেন ও করোনা–আক্রান্ত লোকটিকে খুঁজে বের করেন। পরে তাঁর বাড়িসহ ওই মহল্লার শতাধিক বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি কিডনিসংক্রান্ত রোগের কারণে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই অবস্থায় ১৫ এপ্রিল আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে। ১৮ এপ্রিল পরীক্ষার ফলে করোনা পজিটিভ আসে। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি গোপনে গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় চলে আসেন। তিনি ঢাকায় যাওয়ার আগে ৬ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সদর হাসপাতালের আরএমও শামীম কবির জানান, জ্বরজনিত অসুস্থতা দেখিয়ে পরিবারের লোকজন ওই ব্যক্তিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। ভর্তির পর জানা যায় তিনি কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কিডনি হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে আরএমও বলেন, সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যেসব চিকিৎসক ও নার্স তাঁকে চিকিৎসা দিয়েছেন এবং ওই সময়ে চিকিৎসাধীন থাকা রোগীদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছে, করোনার কোনো উপসর্গ দেখা দিলে যাতে কেউ তথ্য না লুকায়।