পিরোজপুরে বিনা মূল্যে ভ্রাম্যমাণ সবজি বাজার

ভ্রাম্যমাণ বাজার। ২৪ এপ্রিল, রাজারহাট, পিরোজপুর পৌরসভা। ছবি: প্রথম আলো
ভ্রাম্যমাণ বাজার। ২৪ এপ্রিল, রাজারহাট, পিরোজপুর পৌরসভা। ছবি: প্রথম আলো

পিরোজপুর পৌরসভায় চালু করা হয়েছে বিনা মূল্যে ভ্রাম্যমাণ সবজি বাজার। প্রতি সপ্তাহে একদিন এ বাজার পাড়া মহল্লায় গিয়ে শাক সবজি বিলাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে নয়টি ভ্যানে এ সবজি বাজারের কার্যক্রম শুরু হয়।

পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী শাক সবজি না পাওয়ায় আপাতত সপ্তাহে একদিন এ বাজারের কার্যক্রম চলবে। তবে পরবর্তীতে প্রতিদিন করার পরিকল্পনা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নয়টি রিকশা ভ্যানে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে বিনা মূল্যে ভ্রাম্যমাণ সবজি বাজার চালু করা হয়েছে। প্রতিটি ভ্যানে রয়েছে ঝিঙে, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, রেখা, করলা, বেগুন, আলু, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, পুঁইশাক, কচুর লতি, কাচ কলা, মরিচ, টমেটোসহ ১৮ ধরনের শাক ও সবজি।

বৃহস্পতিবার পৌরসভার রাজারহাট মহল্লার কাশেফুল উলুম মাদ্রাসা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, শাক সবজি রাখা একটি ভ্যান নিয়ে ছাত্রলীগের তিন কর্মী দাঁড়িয়ে আছেন। পাড়ার নারী-পুরুষেরা ভ্যান থেকে পছন্দের শাক সবজি নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে আধা ঘণ্টা থাকার পর ভ্যানটি কিছু দূরে এগিয়ে আবার থামে। সেখান থেকে আশপাশের মানুষ শাক সবজি নেন। এভাবে চলে বিনা মূল্যে শাক সবজি বিলানোর কার্যক্রম।

রাজারহাট মহল্লার বাসিন্দা রিকশা চালক ইদ্রিস আলী (৫০) বলেন, ‘আমি ভ্যান থেকে মিষ্টি কুমড়া ও বেগুন নিয়েছি। ছাত্রলীগের নামে অনেক দোষ শুনি। তবে তাঁরা ভালো কাজও করেন।’

পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাব শুরু পর থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বিতরণ করেছি। শহরের বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করেছি। কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছি। পাশাপাশি এখন বিনা মূল্যে ভ্রাম্যমাণ সবজি বাজার চালু করেছি। আপাতত সপ্তাহে একদিন পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে (নয়টি) সবজি বাজার চালু থাকবে। তবে শাক সবজি চাহিদা অনুয়ায়ী পেলে প্রতিদিন এ বাজার চালু করা হবে এবং এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করা হবে।’