দিল্লি ও চেন্নাই থেকে ঢাকায় ফিরছেন ৩২৯ জন

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় ভারতে আটকে পড়েছেন অন্তত আড়াই হাজার বাংলাদেশি। এঁদের মধ্যে আজ দ্বিতীয় দফায় দিল্লি ও চেন্নাই থেকে দুটি আলাদা ফ্লাইটে ঢাকা যাত্রা করেছেন ৩২৯ জন বাংলাদেশি।

আজ শুক্রবার দুপুরে দিল্লি থেকে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

হাইকমিশনার জানান, দিল্লি থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ১৬৩ জন এবং ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্সের আরেকটি ফ্লাইটে ১৬৬ জন যাত্রী ঢাকার পথে যাত্রা করেছেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফ্লাইট দুটি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন তথা বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় উদ্যোগ ও সহযোগিতায় এসব যাত্রীকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশের যাত্রীদের দিল্লি থেকে ঢাকায় পাঠানোর সময় মোহাম্মদ ইমরানসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁরা ঢাকায় ফেরত বাংলাদেশের যাত্রীদের সব ধরণের সহযোগিতা করেন।
মোহাম্মদ ইমরান জানান, এসব যাত্রী বেশির ভাগই চিকিৎসাধীন রোগী। তবে বেশ কিছু শিক্ষার্থীও রয়েছেন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চেন্নাই থেকে প্রথম ফ্লাইটে ১৬৪ জন বাংলাদেশি ঢাকায় ফিরেছেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রোববার আরও একটি ফ্লাইটে চেন্নাই থেকে ১৬৪ জন বাংলাদেশী দেশে ফেরার কথা। এদের বেশির ভাগই বেঙ্গালুরু নারায়না হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসে আটকে পড়েছিলেন। দুই দেশের সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আরও ফ্লাইট পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে।

২৫ মার্চ থেকে ভারতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং কলকাতা, মুম্বাই, গুয়াহাটি ও ত্রিপুরার মিশনগুলোর সহযোগিতায় প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি বিমান ও স্থলপথে দেশে ফিরেছেন। যাঁরা এখনও ভারতে অবস্থান করছেন, তাঁদের দেশে ফেরানোর জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি যথাসময়ে হাইকমিশনের ওয়েবসাইট, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানানো হবে।

ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান, রেল বা গণ-পরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে। বিদেশ থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের প্রত্যাবর্তনের নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে।কূটনীতিবিদসহ সব বিদেশিদের লকডাউন সংক্রান্ত অনুশাসনসমূহ মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার প্রবাসে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিদের সমস্যা সমাধানে দি নিরসনে সচেষ্ট । বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই দেশে ফিরছেন । আটকে পড়া সবাইকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতে বাংলাদেশ মিশনগুলো সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। তবে দুই দেশের জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সবাইকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পরিহারের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে । সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরে স্থানীয় সরকারের নির্দেশাবলী পালনের জন্য আহবান জানানো যাচ্ছে।