৬ ফ্লাইটে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরানো হচ্ছে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ভারতে লকডাউন জারি থাকায় দেশটির বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়েছেন বাংলাদেশের প্রায় আড়াই হাজার নাগরিক। প্রথম দফায় ৬টি ফ্লাইটে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার পর মে মাসে আরও ৬টি ফ্লাইটে আরও এক হাজার বাংলাদেশিকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

আজ সোমবার দুপুরে দিল্লি থেকে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান প্রথম আলোকে মুঠোফোনে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১ মে কলকাতা, ২ মে দিল্লি এবং ৩ মে মুম্বাই থেকে বাংলাদেশের যাত্রীদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনবে। বিমানের ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিয়ে আগ্রহী যাত্রীদের বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকেট পাওয়া যাবে।

মোহাম্মদ ইমরান আরও জানান, দিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা ছাড়াও যাত্রী পাওয়ার ওপর নির্ভর করে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ৩০ এপ্রিল ও মে মাসের ১ ও ২ তারিখ তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের চেন্নাই থেকে ইউএস বাংলার ৫ টি ফ্লাইটে ১৯ শিশু সহ ৮৩৩ জন এবং দিল্লি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ১ শিশুসহ মোট ১৬৩ জনসহ সব মিলিয়ে ৯৯৬ জন বাংলাদেশি ঢাকায় ফিরেছেন। ঢাকায় ফিরে আসা বাংলাদেশের যাত্রীদের উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছেন ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগী। এ ছাড়া কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে আরও শ'দুয়েক বাংলাদেশি সড়ক পথে দেশে ফিরেছেন। এ ছাড়া অন্তত শ'তিনের বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন নিজেদের উদ্যোগে।

দিল্লির কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে লকডাউনে সব ধরনের চলাচল বিচ্ছিন্ন থাকলেও বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নাগরিক ভারত ছেড়ে গেছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভুটানের বেশ কিছু শিক্ষার্থী ফিরে গেছেন নিজেদের দেশে। তবে ভারত বিশেষ করে দিল্লি হয়ে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি বিদেশি ভারত ছেড়ে গেছেন। এদের অধিকাংশই ইউরোপের নাগরিক।