রামুতে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা যুবক নিহত

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাবারবাগান এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবদুর রশিদ ওরফে খোরশেদ (৩০) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, ওই রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায়ী। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামুর জোয়ারিয়ানালার রাবারবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত খোরশেদ উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম নজির আহমদ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মানস বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি এলজি (অস্ত্র) উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ দল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে টহল দিচ্ছিল। এ সময় সন্দেহভাজন একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে থামার সংকেত দিলে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া করলে রামুর জোয়ারিয়ানালা এলাকায় পৌঁছানোর পর একদল দৃর্বৃত্ত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ, ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি মোটরসাইকেল, একটি এলজি উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত চার নারীসহ ২৩২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ৮০ জন রোহিঙ্গা নাগরিকও রয়েছেন।