নওগাঁয় নার্সের পর স্বামী ও দুই সন্তানের করোনা পজিটিভ

নওগাঁয় এক দিনে আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্ত ১৬ জনের মধ্যে দুজন স্বাস্থ্যকর্মী। এ ছাড়া আগে আক্রান্ত এক নার্সের স্বামী ও দুই সন্তানের শরীরেও করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মুনজের-ই মুর্শিদ জানান, নওগাঁ থেকে পাঠানো ২২২ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে ই–মেইলের মাধ্যমে আসে। এর মধ্যে ১৫ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ ধরা পড়ে। এ ছাড়া গতকাল রাত নয়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ই–মেইলের মাধ্যমে নওগাঁর ছয়জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাঠানো হয়, যাঁদের মধ্যে একজনের করোনা ‘পজিটিভ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ এক দিনে জেলায় ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।

নতুন আক্রান্ত এই ১৬ জনসহ নওগাঁয় গতকাল পর্যন্ত ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর আগে ২৩ এপ্রিল জেলার রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও চারজন নারী। নতুন আক্রান্ত ১৬ জনের মধ্যে রাণীনগর উপজেলায় পাঁচজন, আত্রাই উপজেলায় তিনজন, সাপাহারে তিনজন, মহাদেবপুরে দুজন, মান্দায় দুজন এবং পোরশা উপজেলায় একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাণীনগরে নতুন আক্রান্ত পাঁচজনের সবাই আগে আক্রান্ত রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যেও দুজন স্বাস্থ্যকর্মী।

রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইফতেখারুল আলম বলেন, রাণীনগরে নতুন করে আক্রান্ত পাঁচজনের সবাই আগে আক্রান্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স ও অ্যাম্বুলেন্সচালক রয়েছেন। অপর তিনজন আগে আক্রান্ত ওই নার্সের স্বামী ও দুই সন্তান।

মুনজের-ই মুর্শিদ বলেন, রাণীনগর উপজেলার পাঁচজন ছাড়া মহাদেবপুর, পোরশা, মান্দা, সাপাহার ও আত্রাই উপজেলায় আক্রান্ত বাকি ১১ জনের সবাই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লাফেরত। আক্রান্ত ১৬ জনের সবাই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁদের সংস্পর্শে যেসব মানুষ গিয়েছিলেন, তাঁদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সংস্পর্শে আসা যেসব মানুষের তথ্য পাওয়া গেছে, তাঁদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।