আরও ১ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

সরকার
সরকার

ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আরও একজন চেয়ারম্যান ও তিনজন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এ নিয়ে মোট ৩৯ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২২ জন ইউপি সদস্য ও একজন জেলা পরিষদ সদস্য।

আজ বুধবার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান হলেন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। এ ছাড়া সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চর-আড়ালিয়া ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বাচ্চু মিয়া, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শরিফুল ইসলাম এবং দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো . হাবিবুর রহমান।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আইনানুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।

পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, নরসিংদীর ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া করেনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আইন অনুযায়ী তাঁকে অপসারণের সুপারিশ করেছেন।

এ ছাড়া কুষ্টিয়ার সদস্য শরিফুল ইসলাম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণ লুটের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং দৌলতপুর ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান সরকারি ত্রাণ ভুয়া মাস্টাররোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাই কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আইন অনুযায়ী তাঁদের পদ থেকে অপসারণের সুপারিশ করেছেন।

একই সময়ে পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাঁদের চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে অনুরোধ করা হয়।