পিছিয়ে এলেন গাজীপুরের মেয়র

জাহাঙ্গীর আলম। প্রথম আলো ফাইল ছবি
জাহাঙ্গীর আলম। প্রথম আলো ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় না করতে বলেছে সরকার। এ ব্যপারে সরকার কিছু নির্দেশনাও দিয়ে দেয়। কিন্তু গতকাল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সিটি এলাকার মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে কোনো বাধা থাকবে না বলে ঘোষণা দেন। তবে আজ প্রথম আলোকে বলেন, তিনি তাঁর আগের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন। সরকারের নির্দেশনাই মানা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'গাজীপুর মহানগরীতে মাত্র কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাস রয়েছে। বাকিগুলো পাশের উপজেলাগুলোতে অবস্থান করছে। যেহেতু গাজীপুরের গার্মেন্টসগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, তাই এ রমজান মাসে এখন আর মসজিদে অল্পসংখ্যক মুসল্লির জন্য সীমাবদ্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। শুক্রবারের জুমার নামাজ ও রমজানের তারাবিহর নামাজে মুসল্লিগণ অংশ নিতে পারবেন। এতে সিটি করপোরেশনের কোনো বাধা থাকবে না।’

মেয়রের এ বক্তব্যের পর সমালোচনা শুরু হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পরই গাজীপুরের অবস্থান। আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে গতকাল ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, গাজীপুরে ৩১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

ইতিমধ্যে সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৬ এপ্রিল দেশের সব মসজিদে বাইরে থেকে মুসল্লি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকার জানায়, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের খাদেমরা মিলে পাঁচজনের জামাত হবে। এ ছাড়া রোজায় তারাবিহর জামাতে ১২ জন একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

সরকারের এ নির্দেশনা ও মেয়রের নিজের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আজ বুধবার জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকার যে নীতিমালা দিয়েছে ওটাতে থাকলেই ভালো হবে।’ আপনার নির্দেশ প্রত্যাহার করেছেন কি না? প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘হ্যাঁ। পরিবেশটা বলা যাচ্ছে না। গার্মেন্টস খুলে দিয়েছে, এ কারণে রিস্কে আছি।’

গাজীপুরের মেয়র প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘সরকারের যে বক্তব্য সেটাই আমার বক্তব্য।’ তিনি তাঁর গতকালের দেওয়া বক্তব্যের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলেও জানান।