সীতাকুণ্ডে এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত, ১২টি পরিবার লকডাউন

চট্টগ্রামের সীকাকুণ্ড উপজেলার কালুশাহনগর এলাকায় একটি ক্রেন ডিপোতে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। কর্মস্থলের পাশেই বাড়ি। চার ভাইয়ের যৌথ পরিবারে থাকতেন। ছয় মাস ধরে তাঁর গলায় টিউমারের সমস্যা। কয়েক দিন আগে টিউমার অপারেশনের জন্য নগরের একটি হাসপাতালে যান। চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের আগে করোনা পরীক্ষা করতে পাঠান। ২২ এপ্রিল তিনি নমুনা দিয়ে আসেন। এক সপ্তাহ পর গতকাল বুধবার তাঁর নমুনার ফলাফল পাওয়া যায়। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।

ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা পজিটিভ আসায় সংস্পর্শে যাওয়া তাঁর এক সহকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে ও তাঁর পরিবারসহ আশপাশের ১২ পরিবারকে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

গতকাল রাত সোয়া ১০টার দিকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে পরীক্ষা করা ১১৩টি নমুনার মধ্যে ওই ব্যক্তিসহ চারজন করোনায় আক্রান্ত বলে জানায় সিভিল সার্জনের কার্যালয়। পরে রাত ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা গিয়ে ওই ব্যক্তিকে বিআইটিআইডিতে ভর্তি করান।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আক্রান্ত ব্যক্তিকে পুরোপুরি সুস্থ দেখা যায়। হাসপাতালে যেতে যেতে ওই ব্যক্তি নিজের পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, এই ব্যক্তির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তাঁদের ভাবিয়ে তুলেছে। তাঁর আক্রান্ত হওয়ার উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছে আশপাশে এ রকম অনেক রোগী ঘোরাফেরা করছে। এখনই জনগণকে আরও সতর্ক হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।

ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, রাতেই কালুশাহনগরে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশকে লকডাউন কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৮ এপ্রিল সীতাকুণ্ডে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে। এ নিয়ে সীতাকুণ্ডে মোট তিনজন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেল। এর মধ্যে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।