করোনার বিস্তার ঠেকাতে মাগুরায় বসেছে সেনাবাহিনীর তল্লাশিচৌকি

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করেছে সেনাবাহিনী। ওয়াপদা, শ্রীপুর, মাগুরা, ২ মে। ছবি: প্রথম আলো
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করেছে সেনাবাহিনী। ওয়াপদা, শ্রীপুর, মাগুরা, ২ মে। ছবি: প্রথম আলো

গড়াই সেতু পার হয়ে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ওয়াপদা বাজার। এই পথ হয়ে ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চলের গাড়ি খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। এই ওয়াপদা এলাকাতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে শনিবার একটি তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে সেনাবাহিনী। করোনার প্রাদুর্ভাব থাকা এলাকার মানুষের এ অঞ্চলে অবাধে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণেই এই উদ্যোগ।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২ ফিল্ড আর্টিলারির অধিনায়ক লে. কর্নেল আতিফ সিদ্দিকী বলেন, এখানে বসানো তল্লাশিচৌকির তিনটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরে আগত যানবাহনটি কোন জেলায় যাবে, তা যাচাই করা হচ্ছে। সেই জেলার নাম লেখা একটি কাগজ গাড়িটিতে লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় স্তরে মাগুরায় আগত যানবাহনকে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। আর তৃতীয় স্তরে মাগুরা জেলায় আসা মানুষজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপর তাদের তথ্য সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার একটি কার্ড দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার শ্রীপুরের ওয়াপদায় এই তল্লাশিচৌকি উদ্বোধন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাহসেনুল বাকি। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাহাবুবুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহামুদুল গণি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসিন কবির প্রমুখ।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাহসেনুল বাকি বলেন, 'করোনার বিস্তার ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে সেনাবাহিনী। সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি, এ অঞ্চলে আক্রান্তদের বেশির ভাগই বাইরের জেলা থেকে এসেছেন। তাই প্রশাসনের সহযোগিতায় এই চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।'

জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম বলেন, মাগুরায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪। যাতে ভাইরাসের বিস্তার না ঘটে, সে লক্ষ্যে অন্যান্য জেলার যাতায়াতের সড়কগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।