সখীপুরে সেই ছাত্রলীগ নেতার 'খাদ্য'সহায়তা!

টাঙ্গাইলের সখীপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে অর্থদণ্ড পাওয়া ছাত্রলীগ নেতা আরিফ সরকার নিম্ন আয়ের মানুষকে খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন।

শনিবার দিনব্যাপী আরিফ সরকার তাঁর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ২০০ অসহায় পরিবারকে ত্রাণসহায়তা দিয়েছেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেককে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ ও একটি করে হাত ধোয়ার সাবান দেওয়া হয়।
আরিফ সরকার সখীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির একজন ডিলার (পরিবেশক) ছিলেন। চালের পরিবর্তে টাকা দেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। ওই সময় এই নেতাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০ দিনের মাথায় নিম্ন আয়ের মানুষ ও কর্মহীন ব্যক্তিদের মধ্যে চালসহ খাদ্যসহায়তা বিতরণ করায় আবার এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দ করা চাল বিতরণে অনিয়মের পর সেই নিম্ন আয়ের মানুষদের খাদ্যসহায়তা দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আরিফ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনারা জানেন, সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগে গ্রুপিং আছে এবং আমি একটি গ্রুপ করি, যা ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীনরা চান না তাঁদের অনুগত লোকের বাইরে কেউ ডিলার থাকুক। তাই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডিলারশিপ বাতিল ও আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, যেখানে চাল চুরির কোনো বিষয়ই ছিল না, তারপরও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চুরি বলে প্রচার করেছে। রাজনীতিতে প্রতিকূল অবস্থায় থাকলে এমনটাই হয়।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দুর্যোগ মুহূর্তে দলীয় নেতা–কর্মীদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। নেত্রীর নির্দেশমতো আমি সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এর বেশি আমার আর কিছু বলার নেই।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সারির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আরিফ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। চাল বিতরণ করার কারণে দেশবাসীর কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।