স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত, লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাংশ লকডাউন

নাটোরের লালপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো একজন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাংশ লকডাউন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় প্রশাসন হাসপাতালটির টেলিমেডিসিন বিভাগ লকডাউন ঘোষণা করে। তবে অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের টেলিমেডিসিন বিভাগের একজন সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মীর (টেলিমিডিসিন সাপোর্ট ওয়ার্কার) নমুনা ২ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। গতকাল রাজশাহী থেকে নাটোরের সিভিল সার্জনকে জানানো হয় যে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। পরে হাসপাতালের টেলিমেডিসিন বিভাগ লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন শয্যায় রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, আজ সভা ডাকা হয়েছে। উপজেলা করোনা কমিটির ওই সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

গত ২৭ এপ্রিল জেলার সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই স্বাস্থ্যকর্মীসহ আটজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এ কারণে পুরো সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সদর হাসপাতালের একাংশ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সিংড়ার ৭৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনা গতকাল সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে।