চরে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি

পাবনার বেড়া উপজেলার দুর্গম চর থেকে উদ্ধার জ্বর–কাশিতে আক্রান্ত বৃদ্ধকে আজ মঙ্গলবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচ দিন আগেই নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। তবে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় এবং তাঁর পরিচয় না জানায় এই কয়দিন তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধানেই রাখা হয়েছিল।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল বেড়া উপজেলার যমুনা নদীর চরসাফুল্যায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই বৃদ্ধকে (৭০) কে বা কারা ফেলে যান। তাঁর শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। এলাকাবাসীর ধারণা, করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় কেউ নৌকা থেকে ওই বৃদ্ধকে এখানে ফেলে যান। খবর পেয়ে ২০ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আনাম সিদ্দিকী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরদার মো. মিলন মাহমুদ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়।

এই বৃদ্ধের স্বজনদের খোঁজ না পাওয়ায় তাঁকে নিয়ে বিপাকে পড়ে উপজেলা প্রশাসন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না, এটা জানার পর উপজেলা প্রশাসন তাঁকে পুনর্বাসনের নানা উদ্যোগ চালিয়ে আসছিল। গতকাল তাঁকে ভর্তির জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে একটি সিট পাওয়া যায়। আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাঁকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, 'ওই বৃদ্ধ অমানবিক আচরণের শিকার হয়েছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে আনার পর থেকেই আমরা তাঁর প্রতি যত্নবান ছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাঁকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করতে পেরে ভালো লাগছে।'