এবার চীন থেকে মাস্ক পাঠালেন সেই তরুণ

চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত জয়পুরহাটের তরুণ মিজানুর রহমান সরকার এবার বাংলাদেশে ৩০৮টি কেএন-৯৫ মাস্ক পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার নিজের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জয়পুরহাটের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের মধ্যে মাস্কগুলো বিতরণের ব্যবস্থা করিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে মিজানুরের দুজন প্রতিনিধি কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে কিছু মাস্ক দিয়েছেন। জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক প্রথম আলোকে বলেন, ‘জয়পুরহাটের তরুণ শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি কিছু মাস্ক কিনে পাঠিয়েছেন। আমাকে আটটি মাস্ক দেওয়া হয়েছে।’

গত ২৫ মার্চ মিজানুর রহমান তাঁর বৃত্তির টাকা বাঁচিয়ে বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষার ১০০টি কিট কিনে পাঠিয়েছিলেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর সরকারপাড়া গ্রামের আবু জাফরের ছেলে। তিনি চীনের নানতং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

মিজানুর রহমান গত ১৫ এপ্রিল তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘যদি করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করি, তাহলে আমার জানামতে, জয়পুরহাটে এ সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছেন সাংবাদিক, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবক ভাইয়েরা। আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস নেই। তারপরও আপনারা জয়পুরহাটের মানুষের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনাদের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে চীন থেকে মাস্ক উপহার পাঠানোর চিন্তা করছি। আপনাদের মতামত প্রত্যাশা করছি।’

ফেসবুক মেসেঞ্জারে মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফেসবুকে মতামত পাওয়ার পর ৩০৮টি মাস্ক কিনে উপহার হিসেবে জয়পুরহাটে পাঠিয়েছি। মাস্কগুলো সীমিত পরিসরে জয়পুরহাটের চিকিৎসক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ইউএনও, পুলিশের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।’

মিজানুরের প্রতিনিধি সাংবাদিক আব্দুল আলিম বলেন, ‘মিজানুর রহমান বৃত্তির টাকা থেকে মাস্ক কিনে পাঠিয়েছেন। আমরা মাস্কগুলো বিতরণ করছি।’