রোহিঙ্গা সমস্যা নিরাপত্তা পরিষদে তোলার প্রতিশ্রুতি তুরস্কের

রোহিঙ্গা। প্রথম আলো ফাইল ছবি
রোহিঙ্গা। প্রথম আলো ফাইল ছবি

রোহিঙ্গা ইস্যুটি পরবর্তী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ওঠাবে তুরস্ক। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু আজ শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময় এ প্রতিশ্রুতি দেন।
আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিষয়ে খোঁজ নেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানোর বিষয়ে তুরস্ক সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন মেভলুত কাভুসোগলু।
এ কে আব্দুল মোমেন পরের বছর ডি-৮ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য মহাপরিচালক পর্যায়ের কমিশনারদের ভার্চ্যুয়াল সেশন আয়োজনের অনুরোধ জানান। করোনা–পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য ডি-৮–এর একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করার জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তিনি। এসব বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি জানান। বর্তমানে তুরস্ক ডি-৮–এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ডি-৮–এর পরবর্তী সম্মেলন এ বছরের মে মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
স্বল্পোন্নত দেশের জন্য জি-২০–এর বরাদ্দকৃত ৭ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বাংলাদেশ যেন সহযোগিতা পায়, সে বিষয়ে জি-২০–এর সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে তুরস্কের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন আব্দুল মোমেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকে দেওয়া কোভিড-১৯ রিকভারি অ্যান্ড রেসপন্স ফান্ড গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকদের অনেকে আর্থিক ও খাদ্যসংকটে আছেন। বাংলাদেশি প্রবাসীরা যেন তাঁদের চাকরি বহাল রাখতে পারেন, সে বিষয়ে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন। তা ছাড়া যদি কোনো শ্রমিক দেশে ফেরত আসেন, তবে তাঁরা যেন কমপক্ষে ৬ মাসের বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক সহায়তা পান, সে বিষয়ে তিনি তুরস্কের সহযোগিতা চান।
করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পকে সমস্যাসংকুল উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা যাতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের ক্রয়াদেশ বাতিল না করেন, সে বিষয়ে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন।
করোনা–পরবর্তী পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবে সম্মতি জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে উদ্যোগ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এ সময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে ১ লাখ সার্জিক্যাল মাস্কসহ এন-৯৫ মাস্ক সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।