করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে আছে ইইউ: রাষ্ট্রদূত

করোনাভাইরাসের মতো মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট আর্থসামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক ৯ মে ‘ইউরোপ ডে’ উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন।
আজ শনিবার ঢাকায় ইইউ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে রেনসে টেরিঙ্কের ভিডিও বার্তাটি প্রচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে তিন বছর দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশ ও ইইউর দীর্ঘদিনের ও বৈচিত্র্যময় অংশীদারিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
রেনসে টেরিঙ্ক বলেন, কোভিড-১৯ আর্থসামাজিক প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি মানবিকভাবে সংকট তৈরি করেছে। জনগণের জীবনের ওপর তা ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অর্থনীতির গতি হয়ে পড়েছে শ্লথ। অনেক কারখানা উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। রোগীর ভিড়ে উপচে পড়ছে হাসপাতালগুলো। মসজিদগুলো হয়ে পড়েছে মুসল্লিহীন। ফাঁকা হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। অনেকেই বাসায় বসে কাজ চালিয়ে নিলেও অনেকের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখে পড়েছে, বিশেষ এই ইউরোপ ডে উপলক্ষে জানাতে চাই, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার সদস্যদেশসমূহ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় বাংলাদেশকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সহায়তা করবে।’
ইইউ রাষ্ট্রদূত জানান, তিনটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে ইইউ। প্রথমত জরুরি এই স্বাস্থ্যসেবাসংকট দূর করার পাশাপাশি এর ফলে সৃষ্ট মানবিক চাহিদা পূরণ করা। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করা। তৃতীয়ত মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের গবেষণা এবং প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা জোরদারে সহায়তা করা। আর পরিশেষে এই মহামারির ফলে সৃষ্ট আর্থসামাজিক প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা করা।
রেনসে টেরিঙ্ক বলেন, ‘আমরা এটার নিশ্চয়তা দিতে চাই, ইইউর পর্যাপ্ত তহবিল বাংলাদেশের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে, যাতে করোনাভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশ মোকাবিলা করতে পারে। সাধারণত ৯ মে আমরা একসঙ্গে এবং বড় পরিসরে ইউরোপ ডে উদ্‌যাপন করে থাকি। এবার সেটা সম্ভব হলো না। আমরা এখানে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের বন্ধুতা আমরা একসঙ্গেই এই চ্যালেঞ্জকে জয় করব।’