ছেলের সহায়তায় স্বামীকে খুন

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

ঢাকার ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের সহায়তায় এক গৃহবধূ তাঁর স্বামী মতিয়ার রহমানকে (৪৭) ঘুমের বড়ি খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বালিথা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মতিয়ারের স্ত্রী কাজল রেখা (৪০) ও ছেলে রবিনকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে। মতিয়ার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বালিথায় শ্বশুরবাড়িতে থেকে কৃষিকাজ করতেন।

ধামরাই থানা–পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মতিয়ার সন্দেহ করতেন অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী কাজল রেখার সম্পর্ক আছে। এমন সন্দেহ থেকে তাঁদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। কলহের জের ধরে মেজ ছেলে রবিনকে নিয়ে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কাজল রেখা। পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল রাত নয়টার দিকে মাংসের সঙ্গে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে স্বামীকে খেতে দেন কাজল রেখা। খাওয়ার কিছু সময় পর মতিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর মাথায় তেল ডলে দেন কাজল রেখা। একপর্যায়ে মতিয়ার অচেতন হয়ে পড়লে ছেলে রবিনের সহায়তায় কাজল রেখা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাঁর স্বামীকে হত্যা করেন। পরে হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

মতিয়ারের বোন ডলিমন বেগম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাবি কাজল রেখা তাঁর ভাইকে কিছুদিন ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর জের ধরেই ছেলের সহায়তায় ভাবি তাঁর ভাইকে হত্যা করেছেন। আজ রোববার তিনি এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় তাঁর ভাবি ও ভাতিজার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, মামলা দায়েরের পর কাজল রেখা ও তাঁর ছেলে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখানে রবিন মা ও তিনি মিলে বাবাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।