আশুলিয়ায় বকেয়া ও শতভাগ বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ঢাকার আশুলিয়ায় বকেয়া ও শতভাগ বেতনের দাবিতে তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আজ মঙ্গলবার আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। এর মধ্যে একটি কারখানার শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামগড়া এলাকার ফ্যাশন নিটওয়্যারের শ্রমিকেরা  মঙ্গলবার সকালে যথাসময়ে কারখানায় গিয়ে কাজ শুরু করেন। কাজ শুরুর কিছু সময় পরে তাঁরা এপ্রিল মাসের শতভাগ বেতন অথবা সরকার ঘোষিত ৬৫ শতাংশ বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত ২ হাজার ৫০০ করে দাবি করেন। কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি পূরণে রাজি না হওয়ায় শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে কারখানার ভেতরে অবস্থান নেন।

ফ্যাশন নিটওয়ারের কয়েকজন শ্রমিক বলেন, তাঁদের পাশের একটি কারখানার মালিক সরকার ঘোষিত ৬৫ শতাংশ বেতনের সঙ্গে প্রত্যেক শ্রমিককে অতিরিক্ত ২ হাজার ৫০০ করে দিয়েছেন। ওই কারখানার মালিক দিতে পারলে তাঁদের কারখানার মালিককেও ওই পরিমান অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। 

 বাগবাড়ি এলাকার সাদ নিটওয়্যারের শ্রমিকেরা গতকাল যথাসময়ে কাজে যোগ দেন। পরে শতভাগ বেতনের দাবিতে সকাল ১০টার দিকে তাঁরা কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যান।ওই কারখানার কয়েকজন শ্রমিক অভিযোগ করেন, কারখানা থেকে বাইরে আসার সময় কতিপয় ব্যক্তি কয়েকজন শ্রমিককে লাঞ্ছিত করেছেন।

এদিকে জামগড়া এলাকার পোশাক নিটওয়্যারের তিন শতাধিক শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে গতকাল সকাল নয়টার দিকে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। মঙ্গলবার তাঁদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। এসব শ্রমিকদের আংশিক গত মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পাননি। এ ছাড়া এপ্রিল মাসে কোনো শ্রমিককে বেতন দেওয়া হয়নি।

পোশাক নিটওয়্যারের শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে তাঁদের কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁদের নানাভাবে ঘোরানো হচ্ছে। মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে শিল্প পুলিশ মঙ্গলবার তাঁদের বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী  মঙ্গলবার সকালে তাঁরা কারখানার সামনে উপস্থি হন। এ সময় মালিক বা শিল্প পুলিশের কাউকে না পেয়ে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, শতভাগ বেতনের দাবিতে দুইটি কারখানার শ্রমিকেরা গতকাল মঙ্গবার আন্দোলন করেছেন। এব্যাপারে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কাজে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

 পোশাক নিটওয়্যারের শ্রমিকদের বেতন–ভাতা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, মালিক পক্ষোর সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।