কাঁঠালিয়ায় করোনা শনাক্ত ব্যক্তি পালিয়েছেন, ৩০টি বাড়ি লকডাউন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় প্রথম করোনা শনাক্ত ব্যক্তি হোম আইসোলেশসনে থাকা অবস্থায় পালিয়ে গেছেন। বুধবার গভীর রাতে তিনি উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাপস কুমার তালুকদার।

বুধবার সন্ধ্যায় ওই আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়িতে শতাধিক মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করেন। রাতেই বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁর করোনা প্রতিবেদন পজিটিভ আসে। রাত ১২টার দিকে তিনি পালিয়ে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এক সপ্তাহ আগে ওই ব্যক্তি তাঁর মায়ের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। এলাকার লোকজনের সন্দেহ হলে আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। গতকাল বুধবার সেই ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। খবর পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন , পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা চলছে। তাঁর বাড়িতে ইফতারে অংশ নেওয়া লোকজনের ৩০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাপস কুমার তালুকদার বলেন, ওই ব্যক্তি চট্টগ্রাম থেকেই আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। ইফতারে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা তাঁর সংস্পর্শে আসায় তাঁরা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেলেন। তাঁকে খুঁজে বের করা না গেলে আরও অনেক ব্যক্তি আক্রান্ত হবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকন্দ মো. ফয়সাল উদ্দিন বলেন, পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে পুলিশ প্রশাসন চেষ্টা করছে। ওই বাড়িতে গোপনে ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ৩০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।