ইন্দুরকানি উপজেলায় তিনজনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের করোনা পরীক্ষাগার থেকে পিরোজপুরের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ নিয়ে জেলায় ৩১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। গত ১৩ এপ্রিল জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রথম এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়। এর পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। গত এক সপ্তাহে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হলো।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইন্দুরকানি উপজেলার দুই নারী ও এক যুবকের করোনা প্রতিবেদন ‘পজিটিভ’ এসেছে। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত এই দুই নারী ঢাকা এবং ওই যুবক সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসেন। গত মঙ্গলবার তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শুক্রবার রাতে করোনার সংক্রমণ শনাক্তের প্রতিবেদন আসার পর রাতেই আক্রান্ত তিনজনের বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ওই তিনজনের বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রীও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন থাকা অবস্থায় তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে।

পিরোজপুরের সিভিল সার্জন মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, আক্রান্তদের করোনা উপসর্গ প্রকাশ না পাওয়ায় তাঁদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বা অসুস্থ বোধ করলে তাঁদের হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হবে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় এ পর্যন্ত ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সদর উপজেলায় ১২ জন, ভান্ডারিয়ায় ৯ জন, মঠবাড়িয়ায় ৫ জন, ইন্দুরকানিতে ৩ জন, কাউখালীতে একজন ও নেছারাবাদ উপজেলায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়। এঁদের মধ্যে চারজন সুস্থ হয়েছেন।