ঈদের সময় ফুর্তি করতে বের হবেন না: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে কেউ ফুর্তি করতে বের হবেন না।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘ঈদের সময়ে শহরে–গ্রামে যে যেখানে আছেন, ফুর্তি করতে বের হবেন না।’ যাঁর যাঁর অবস্থানে থাকার অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘দয়া করে নিজের অবস্থান থেকে বের হবেন না। ঢাকা ছাড়বেন না এবং ঢাকায় আসবেন না। জীবনে অনেক ঈদ আসবে। তখন এসব করা যাবে। এমন কিছু করবেন না, যাতে এই উৎসব জীবনের শেষ উৎসব হয়। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষের জীবন গুরুত্বপূর্ণ। ঈদে আনন্দ করার জন্য নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দূত হয়ে পরিবারের সামনে হাজির হবেন না।'

পুলিশ কেন কঠোর হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘সরকার দেশের মানুষের জন্য যা ভালো সেটা করছে। দেশে অনেক প্রান্তিক ও খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে। সরকারকে সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অনেক দেশ মানুষকে ঘরে রাখতে শক্তি প্রয়োগ করলেও আমরা কোনো শক্তি প্রয়োগ করিনি।’

তথ্য প্রকাশের অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, গুজব ছড়ানো অপরাধ। মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ দেশবিরোধী অবস্থান নিলে কেউ তা মেনে নেবে না। জনগণকে বিভ্রান্ত করার অধিকার কারও নেই। করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

পুলিশের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পুলিশের পরিকল্পনায় কোনো ভুল ছিল কি না? জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, 'পুলিশ তার দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে, এখনো করছে। ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ অনেক কাজ করেছে। যেখানে লাশের কাছে পরিবারের কেউ যেতে চায়নি, সেখানে পুলিশ গিয়েছে। এ রকম হলে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। তবে পুলিশের জন্য আগাম সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং আক্রান্ত হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।' তিনি আরও জানান, শুধু মাঠপর্যায়ের পুলিশই না, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাও আক্রান্ত হয়েছেন।

মানুষ এই সাধারণ ছুটিকে উৎসব মনে করেছে, পুলিশ কেন কিছু বলছে না? এর জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, মানুষকে জোর করে ঘরে রাখা যাবে না। তাদের বুঝতে হবে জীবনটা তার নিজের। নিজের সুরক্ষার কথা নিজেকেই ভাবতেই হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মাঈনুর রহমান চৌধুরী, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।